ডিজিটাল মার্কেটিং অথবা ফেসবুক মার্কেটিং এর পিছনে হাজার হাজার ডলার খরচ করেও কাঙ্ক্ষিত সেল পাচ্ছেন না তাই তো?

বর্তমান সময়ে প্রপার সেল ফানেল এর মাধ্যমে ডাটা ড্রিভেন মার্কেটিং করতে না পারলে ফেসবুক বুষ্টিং বা ফেসবুক মার্কেটিং করা মানেই বিজনেস এ লস করা

একটা ল্যান্ডিং পেজ এর মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই সঠিক কাস্টমার এর কাছে আপনার বিজ্ঞাপন দেখাতে পারেন ও প্রয়োজন অনুযায়ী রি-টার্গেটিং করে পুনরায় বিজ্ঞাপন দেখাতে পারেন, ফলে সেল বেড়ে যায় বহুগুন।

ল্যান্ডিং পেজ কী?

মার্কেটিং এর ভাষায় ল্যান্ডিং পেইজ বলতে ওয়েবসাইটের একটি বিশেষ পেজকে বোঝায় যেখানে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে কোন সুনির্দিষ্ট পণ্য বা সেবা অফার করা হয়। ল্যান্ডিং পেজ বানানো হয় মার্কেটিং অথবা অ্যাডভার্টাইজিং ক্যাম্পেইন পরিচালনার উদ্দেশ্যে। বিজ্ঞাপনে ক্লিক করার পর ভিজিটর প্রথম এই পেজ এ ল্যান্ডিং করার মাধ্যমে ওয়েবসাইট ব্রাউজিং করা শুরু করে বলে একে ল্যান্ডিং পেজ বলে। ল্যান্ডিং পেইজ অনেকটা ওয়েব পেইজের মত। এটি ওয়েব সাইটেরই একটি অংশ। তবে ওয়েব পেইজ এবং ল্যান্ডিং পেইজের মধ্যে তফাৎ রয়েছে। ল্যান্ডিং পেইজ ডিজাইন করা হয় নির্দিষ্ট কোন টপিক কে টার্গেট করে। এটি ডিজাইনের ও বিভিন্ন রকম উদ্দেশ্য রয়েছে। এই ল্যান্ডিং পেইজ গুলোর প্রধান উদ্দেশ্য থাকে কনভার্সন রেট বাড়ানোর এবং ওয়েব সাইটের সেলস বাড়ানোর। সাথে বোনাস হিসেবে আরো পাবে ‘লিড/কাস্টমারের ডাটা’ যা পরবর্তীতে টার্গেটেড অডিয়েন্সে পরিনত হয়। নির্দিষ্ট কোনো পন্যের মার্কেটিং এর জন্য যে পেইজ তৈরি করা হয় তাকে বলা হয়ে থাকে ল্যান্ডিং পেইজ।

landing page

কেন আপনার বিজনেস এর সেল বাড়াতে ল্যান্ডিং পেজ দরকার?

ল্যান্ডিং পেইজের বিভিন্ন রকম সুবিধা রয়েছে যেখানে ল্যন্ডিং পেইজ আপনার ওয়েব সাইটের কনভার্সন রেট বাড়াতে এবং সিপিএ কমাতে সহায়তা করে। এই ল্যান্ডিং পেইজের প্রধান উদ্দেশ্য থাকে কোন একটি নির্দিষ্ট প্রোডাক্টের প্রমোশনাল মার্কেটিং। এটি সবচেয়ে কার্যকর, যখন আপনি আপনার একটি নির্দিষ্ট প্রোডাক্ট কেন্দ্র করে মার্কেটিং ক্যাম্পেইন রান করতে চান। ধরুন, কোনো একটি নিদিষ্ট পন্যের উপর ছাড় দিতে চান। তখন আপনি এই ল্যান্ডিং পেইজ তৈরি করতে পারেন। এক্ষেত্রে ফলাফল যেটি দাঁড়াবে সেটি হচ্ছে, একে তো আপনার ঐ নির্দিষ্ট পন্যের বিক্রি বাড়বে অপর দিকে আপনার মূল ওয়েব সাইটের ভিজিটর বাড়বে। মানুষজন একটি পন্য কিনতে আসলে অন্য আরেকটি পন্যে কিনতে পারার সম্ভাবনা থাকবে। ফলে ল্যান্ডিং পেইজ বিভিন্ন রকম উপকারে আসে।

ল্যান্ডিং পেজের মাধ্যেমে আপনি আপনার কাস্টমার বা টার্গেট অডিয়েন্স এর কাছে আপনার প্রডাক্ট টি সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানাতে পারবেন ফলে কাস্টমার আপনার প্রডাক্ট এর সব বিস্তারিত জানার পর প্রডাক্ট টি এখান থেকে সাথে সাথে অর্ডার করার ইচ্ছে পোষন করতে পারে। এতে করে আপনি অনলাইন এ এক্টিভ থাকেন অথবা না থাকেন অর্ডার টি কনফার্মেশন হয়ে যায় অটোমেটিকভাবে।

ল্যান্ডিং পেইজ আপনার ওয়েবসাইটের কনভার্সন রেট বৃদ্ধিতে সহায়তা করে থাকে। এই ল্যান্ডিং পেইজের মাধ্যমে স্পেসিফিক কিছু প্রোডাক্টের অফার এর মার্কেটিং করা যায়। অনেক সময় দেখা যায় পুরো ওয়েব সাইটের মার্কেটিং করলে অত বেশি কার্যকর ফল আসে না যতটা এই ল্যান্ডিং পেইজের মাধ্যমে মার্কেটিং করার ফলে আসে। তাই সকল মার্কেটাররা এই ল্যান্ডিং পেইজ কে পছন্দ করে থাকেন তাদের স্পেসিফিক মার্কেটিং এর জন্য।

বলছিলাম ল্যান্ডিং পেইজের কনভার্সন রেট বৃদ্ধির কথা। ফলে নির্দিষ্ট একটি পেইজের মাধ্যমে ওয়েবসাইটের বেচাকেনা বাড়িয়ে তোলা যায় এবং ওয়েবসাইটের ভিজিটর বাড়ানো যায়। পরবর্তীতে অন্যান্য পণ্যের দিকে কাস্টমারকে আকর্ষণ ও করা সম্ভব। কারণ যখন একটি কাস্টমার আপনার ওয়েবসাইট ভিজিট করতে আসবে তখন সে আপনার ওয়েব সাইটে কি কি আছে তা সম্পর্কে ভালো একটা ধারণা নিয়ে যাবে। ফলে পরবর্তীতে সে আপনার রেগুলার কাস্টমারে রূপান্তর হবে।

ল্যান্ডিং পেইজ ডিজিটাল মার্কেটারদের নিকট অত্যন্ত জনপ্রিয় হওয়ার প্রধান কারণ এই তথ্য সংগ্রহ করা। যাকে ইংরেজিতে বলা হয়ে থাকে লিড জেনারেশন। এই লিড জেনারেট করতে সবচেয়ে বেশি কার্যকরী পদ্ধতি হচ্ছে ল্যান্ডিং পেইজ তৈরি করা। এক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন কাস্টমারের আগ্রহের বিষয় নিয়ে পরিপূর্ণ ধারণা নেওয়া যায়। এই ল্যান্ডিং পেইজের মাধ্যমে অডিয়েন্স এর অনেক রকম তথ্য সংগ্রহ করা যায়। তাদের আগ্রহের বিষয় থেকে শুরু করে তাদের ক্লিকের ধরন পর্যন্ত সব রকম তথ্য সংগ্রহ করা যায়। যা পরবর্তীতে ‘টার্গেটেড মার্কেটিং’ করতে বেশ সহায়তা করা থাকে। বর্তমানে বিশ্ব ডাটার উপর নির্ভর করে আছে। যার কাছে যত বেশি ডাটা আছে, সে ততখানি উন্নত করতে পারবে। ২০১৬ সালে এই ডাটা কিভাবে বিশ্ব রাজনীতির দিক পরিবর্তন করে দিয়েছিলো তা সকলের কম বেশি জানা। এই ডাটা গুলো পরবর্তীতে কাস্টমার গুলোকে নির্দিষ্ট করে দিতে পারে। তাই অডিয়েন্সকে বুঝতে হলে ল্যান্ডিং পেইজ হতে পারে একটি মোক্ষম হাতিয়ার।

ল্যান্ডিং পেইজ আপনাকে আপনার ওয়েবসাইটের অডিয়েন্স বুঝতে অনেক বেশি সহায়তা করবে। তার পাশাপাশি আপনার ক্যম্পেইন কিভাবে চালাচ্ছেন তা সম্পর্কে ভালো ধারণা পাবেন। এই ল্যান্ডিং পেইজের মাধ্যমে আপনি আপনার ওয়েবসাইটের বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা সেরে নিতে পারবেন। যেমন ধরুন আপনি একটি পন্যের অ্যাড দিলেন, মার্কেটিং ও করলেন, এর কনভার্সন রেট দেখে বলে দিতে পারবেন আপনার এই মার্কেটিং ক্যম্পেইনটি কতটুকু কার্যকরী হয়েছে। কত জন মানুষ এই ল্যন্ডিং পেইজের মাধ্যমে আপনার মেইন ওয়েব সাইটে প্রবেশ করেছে। এই রকম আরো নানান ধরনের জরিপ চালিয়ে আপনার অডিয়েন্সের মস্তিস্কে প্রবেশ করতে পারবেন সহজে। যা আপনাকে আপনার অডিয়েন্স বুঝতে আর ও অনেক বেশি সহায়তা করবে। 

ধরুন আপনার ওয়েবসাইটের এই বছর কতগুলো পন্য পুরোনো হতে চললো, এখন আপনি চাচ্ছেন ফ্ল্যাশ সেলের মাধ্যমে আপনার ঐ সমস্ত পন্য গুলোর বিক্রি বাড়িয়ে দিতে। এখন ল্যান্ডিং পেইজের কনভার্সন রেট দেখে আপনি বলে দিতে পারবেন কতগুলো পন্য বিক্রি হয়েছে আর কত গুলো আরো পন্য বিক্রি হওয়া দরকার। এই ধরণের তথ্য আপনি সহজে জানতে পারবেন এবং পরবর্তীতে এই তথ্যের আলোকে অ্যাকশন নিতে পারবেন, ফলে আপনার অডিয়েন্সকে আরো ভালো ভাবে স্টাডি করতে পারবেন। যা আপনার ওয়েব সাইটের জন্য পরবর্তী করনীয় সম্পর্কে ভালো ধারণা দিতে পারবে।

শুধু মাত্র সস্তা ফেসবুক বুস্টের পিছে না দৌড়ে ল্যান্ডিং পেজের মাধ্যেমে সঠিক ভাবে ক্যাম্পেইন করুন। সেল নিয়ে চিন্তা করতে হবে না ইনশা আল্লাহ

কেন আমাদের কাছ থেকে ল্যান্ডিং পেজ করিয়ে নিবেন?

landing page image

প্রাইসিং প্ল্যান

ডোমেইন ও হোস্টিং সহ

৮,৫০০ টাকা ৫,৫০০ টাকা মাত্র

ডোমেইন ও হোস্টিং ছাড়া

৭,০০০ টাকা ৪,৫০০ টাকা মাত্র

ল্যান্ডিং পেজ ডেমো

গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রশ্ন উত্তর

আপনি লাইফটাইম আমাদের কাছ থেকে আফটার সেল সাপোর্ট পাবেন ইনশাআল্লাহ

অর্ডার করার ২ দিনের মধ্যেই আপনার ল্যান্ডিং পেজ টি আপনি পেয়ে যাবেন ইনশাআল্লাহ

জ্বী, আপনি আপনার যেকোন প্রডাক্ট এর জন্য ল্যান্ডিং পেজ ডিজাইন করে নিতে পারবেন।

আমাদের সার্ভিস সমূহঃ ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট, সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ডিজিটাল মার্কেটিং, এসইও, ভিডিও এডিটিং ইত্যাদি

ল্যান্ডিং পেজ ডিজাইন করতে আমাদের শর্ত সমূহ

আমাদের ঠিকানা

অফিসের ঠিকানা

আমাদের অন্যান্য সার্ভিস সমূহ

Scroll to Top